কলাকে বলা হয় সহজলভ্য একটি ‘সুপারফুড’— যা পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং শরীরে দ্রুত এনার্জি জোগায়। এটি যেমন সবজি হিসেবে খাওয়া যায়, তেমনই পাকা ফল হিসেবেও সমান জনপ্রিয়। তবে প্রশ্ন হলো— ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কোন ধরনের কলা সবচেয়ে উপযোগী? কাঁচা, পাকা নাকি মজে যাওয়া?
বিশেষজ্ঞদের মতে, কলা যত পাকে, ততই এর গঠন ও পুষ্টিগুণে পরিবর্তন আসে। কাঁচা কলার স্টার্চ ধীরে ধীরে রূপ নেয় প্রাকৃতিক চিনি যেমন গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজে। তাই কাঁচা, পাকা ও অতিপাকা কলার প্রভাব ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভিন্ন হয়।
🍌 কাঁচকলা
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ বিকল্প হলো কাঁচকলা। এতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি এবং মিষ্টতা তুলনামূলকভাবে কম। এই ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ও অন্ত্রের জন্য উপকারী। কাঁচকলা প্রিবায়োটিক খাদ্য হিসেবে কাজ করে, যা হজমতন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়ায় এবং প্রদাহ কমায়।
🍌 অল্প পাকা কলা
পুরোপুরি কাঁচা নয়, আবার সম্পূর্ণ পাকা নয়— এমন কলায় থাকে প্রচুর পটাশিয়াম, যা পেশি ও স্নায়ুর কার্যক্রমে সহায়ক। যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আছে, তারা এই পর্যায়ের কলা সীমিত পরিমাণে খেতে পারেন।
🍌 পাকা হলুদ কলা
সম্পূর্ণ পাকা কলায় মিষ্টত্ব বেশি, কারণ স্টার্চ পুরোপুরি চিনি হিসেবে রূপ নেয়। এটি দ্রুত এনার্জি দেয়, তাই যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাদের জন্য ভালো। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নয়— এতে শর্করার মাত্রা অনেক বেশি।
🍌 মজে যাওয়া কলা
যে কলায় কালচে বা খয়েরি দাগ পড়ে, সেটিই মজে যাওয়া কলা। এই অবস্থায় কলাটি সবচেয়ে মিষ্টি এবং রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়ায়। তাই ডায়াবেটিকদের জন্য এটি সম্পূর্ণ পরিহারযোগ্য।
🔹 সর্বশেষ পরামর্শ:
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সবচেয়ে ভালো হলো কাঁচকলা বা অল্প পাকা কলা, কারণ এতে ফাইবার বেশি এবং চিনি তুলনামূলকভাবে কম। আর অতিপাকা বা মজে যাওয়া কলা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ।
সূত্র: এই সময়
বিডি এক্সপ্রেস ডেস্ক 









