Dhaka 6:30 pm, Friday, 5 December 2025

রাজৈর উপজেলার টেকেরহাটের ‘জুই ফার্নিচার মার্ট’-এর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বাজারের ‘জুই ফার্নিচার মার্ট’-এর বিরুদ্ধে প্রতারণা, নিম্নমানের রং এবং লিখিত গ্যারান্টি অমান্যের অভিযোগ তুলেছেন নিলামপুরদ্দী, কবিরাজপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মনির হাওলাদার (৪০)।

ভুক্তভোগী মনির হাওলাদার জানান, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি প্রতিষ্ঠানটি থেকে মোট ৭০ হাজার টাকার দুটি আসবাবপত্র ক্রয় করেন—এর মধ্যে একটি অল চুকেজ ৪০ হাজার টাকা এবং একটি আলমারি ৩০ হাজার টাকার। ক্রয়ের সময় দোকানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, লেকার রং করতে আনুমানিক ৩৫ হাজার টাকা খরচ হতে পারে এবং রঙের মানের ওপর নির্ভর করে ২০ হাজার টাকার মতো কম-বেশি হতে পারে।

মনির হাওলাদারের অভিযোগ, দোকানের ম্যানেজার মো. শাহজালাল ক্যাশ মেমোতে ৩০ বছরের ফার্নিচারের গ্যারান্টি এবং লেকার রঙের ওয়ারেন্টি উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই আসবাবের রং নষ্ট হয়ে যায় এবং লেকার পৃষ্ঠে ‘সাতকুরা’ ধরণের দাগ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি জানাতে গেলে দোকান কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুত ১০০% লেকার করে দেওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ৪০% লেকার করে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।

এই বিষয়ে মনির হাওলাদার ম্যানেজার শাহজালালকে মেসেজ পাঠালে তিনি জবাবে বলেন,
“সমাধান না হওয়ার কিছু নেই, সব কিছুরই সমাধান আছে। কোম্পানির কালার ম্যান সবুজ মামা বা শো-রুম মালিক যেটা বলবে, আমি সেটাই করতে বাধ্য।”

ভুক্তভোগীর দাবি, দোকান কর্তৃপক্ষ লিখিত গ্যারান্টি ও ওয়ারেন্টি মানছে না এবং প্রতিশ্রুত মানের কাজও সম্পন্ন করেনি। তিনি বিষয়টির সঠিক তদন্ত এবং ভোক্তা অধিকার আইনে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

sabuj bala

Popular Post

শাজাহান খানের মেয়ে ঐশীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা দায়ের

রাজৈর উপজেলার টেকেরহাটের ‘জুই ফার্নিচার মার্ট’-এর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

Update Time : 05:38:02 pm, Wednesday, 26 November 2025

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বাজারের ‘জুই ফার্নিচার মার্ট’-এর বিরুদ্ধে প্রতারণা, নিম্নমানের রং এবং লিখিত গ্যারান্টি অমান্যের অভিযোগ তুলেছেন নিলামপুরদ্দী, কবিরাজপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মনির হাওলাদার (৪০)।

ভুক্তভোগী মনির হাওলাদার জানান, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি প্রতিষ্ঠানটি থেকে মোট ৭০ হাজার টাকার দুটি আসবাবপত্র ক্রয় করেন—এর মধ্যে একটি অল চুকেজ ৪০ হাজার টাকা এবং একটি আলমারি ৩০ হাজার টাকার। ক্রয়ের সময় দোকানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, লেকার রং করতে আনুমানিক ৩৫ হাজার টাকা খরচ হতে পারে এবং রঙের মানের ওপর নির্ভর করে ২০ হাজার টাকার মতো কম-বেশি হতে পারে।

মনির হাওলাদারের অভিযোগ, দোকানের ম্যানেজার মো. শাহজালাল ক্যাশ মেমোতে ৩০ বছরের ফার্নিচারের গ্যারান্টি এবং লেকার রঙের ওয়ারেন্টি উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই আসবাবের রং নষ্ট হয়ে যায় এবং লেকার পৃষ্ঠে ‘সাতকুরা’ ধরণের দাগ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি জানাতে গেলে দোকান কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুত ১০০% লেকার করে দেওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ৪০% লেকার করে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।

এই বিষয়ে মনির হাওলাদার ম্যানেজার শাহজালালকে মেসেজ পাঠালে তিনি জবাবে বলেন,
“সমাধান না হওয়ার কিছু নেই, সব কিছুরই সমাধান আছে। কোম্পানির কালার ম্যান সবুজ মামা বা শো-রুম মালিক যেটা বলবে, আমি সেটাই করতে বাধ্য।”

ভুক্তভোগীর দাবি, দোকান কর্তৃপক্ষ লিখিত গ্যারান্টি ও ওয়ারেন্টি মানছে না এবং প্রতিশ্রুত মানের কাজও সম্পন্ন করেনি। তিনি বিষয়টির সঠিক তদন্ত এবং ভোক্তা অধিকার আইনে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।